দি-গাংচিল ভ্রমণ ডেস্ক | ১৮ জুলাই ২০২০
বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে নোভেল করোনা ভাইরাস। যতদিন গিয়েছে, ততই প্রকট হয়ে উঠছে তার চেহারা। প্রথম দিকে ধীরগতি থাকলেও এই মুহুর্তে করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে তিন নাম্বারে রয়েছে ভারত। সরকারী তথ্যমতে, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজারেরও অধিক মানুষের।
ভারতের সব রাজ্যে করোনা থাবা বসালেও করোনা মুক্ত রয়েছে একটি স্থান। সেটি হলো ভারতের অন্যতম পর্যটন স্থান লাক্ষা দ্বীপ। শুরুর দিকে সিকিম, গোয়া করোনা মুক্ত থাকলেও শেষ রক্ষা হয় নি। কিন্তু নিজেদের একশত ভাগ ভাইরাসমুক্ত রাখতে সফল হল এই ভারতের কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলটি।
ছোট্ট এই দ্বীপে প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার মানুষের বাস। এখনও পর্যন্ত সেখানে করোনা উপসর্গ আছে, এমন ৬১ জনের পরীক্ষা হয়েছে। প্রত্যেকের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।
প্রথম থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপের জন্যই রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে এই মারণ ভাইরাসকে । এমনকী পরিস্থিতি সেখানে এতটাই স্বাভাবিক যে, সেখানকার স্কুল-কলেজ খুলতে চেয়ে কেন্দ্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কিন্তু, কিভাবে সম্ভব হল এই অসাধ্য সাধন?
মহামারীর শুরুতেই অন্যান্য রাজ্য কিংবা দেশ থেকে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর শুরু থেকেই বিমান যাত্রার আগে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। ফেব্রুয়ারি থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছিল এই দ্বীপটি। পর্যটকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, স্পেশ্যাল পারমিট ছাড়া লাক্ষাদ্বীপে প্রবেশ করা যাবে না। তাই কোনওভাবেই সংক্রমণ ছড়াতে পারেনি।
প্রকৃৃত পক্ষে লাক্ষাদ্বীপের চিকিৎসার পরিকাঠামো অত্যন্ত নিম্নমানের। সমগ্র দ্বীপে হাসপাতালের সংখ্যা মাত্র ৩ টি। তাই প্রশাসন ভালই করেই জানত, সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। আর এ কারণেই অন্যভাবে করোনাভাইরাসকে মোকাবেলা করার রাস্তা বের করে তারা। সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই সেখানে রোগীদের টেস্ট করা হয়েছে। অন্যান্য জায়গা থেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার মেয়াদও সেখানে বেশি করা হয়েছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |