| ০১ আগস্ট ২০২০
আমের আঁটির ভেঁপু
১.
করোণা, আম্পান, বানের আঘাতে এত কষ্ট,
চারিদিকে আজ দূর্যোগের চিত্র স্পষ্ট।
করোণা’র আতঙ্কে মানুষ চলে নিরাপদে,
আয়ের উৎস বন্ধ প্রায় জীবন চলে তাই নিঃশব্দে।
আম্পানের ছোবলে মানুষ হারিয়েছে আবাস,
বানের পানিতে সব শেষ অপেক্ষায় থাকতে হবে মাসের পর মাস।
জীবনটাই এখন মহাদূর্যোগে পতিত,
চিন্তায় চিন্তায় কপালে ভাঁজ, স্বপ্নগুলো যেন মৃত।
দু’কাঁধে দু’টো চুলের বেণী ঝুলিয়ে মামনিরা যায় না স্কুল,
আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পাড় হয় না পুল।
একসাথে উচ্চস্বরে বলে না অ তে অজগর ঐ আসছে তেড়ে,
সবার চাওয়া করোণা, আম্পান, বানের এই পরিস্থিতি যাবে সেরে।
ঘরের উপর বিশাল দেহ নিয়ে পাকুর গাছ নড়ে চড়ে,
বৃষ্টির পানি ছল ছল টিপ টিপ করে পড়ে।
দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার স্বাদ,
ত্রাণ চোরের বড্ড স্পর্ধা করছে অপরাধ।
জীবনের শেষ সম্বলটুকু বেচে চেষ্টা ছিল করতে ব্যবসা,
করোণা আঘাতের সাথে নানা জটিলতা তাই নেই কোন প্রত্যাশা।
জীবন যুদ্ধের চরম মূহুর্তে কে দাঁড়াবে পাশে?
লুটেরারা লুটে নিয়ে শুধু হাঁসে।
করোণা, আম্পান, বান হলো জীবন পথের বড় বড় খাদ,
দুঃখের দিনে বড়লোকেরা উচ্চাভিলাস দাও বাদ।
বড়লোকের বড় পেটের থালা ভর্তি খাবার নিয়ে হেলা,
জীর্ণ শীর্ণ দেহ নিয়ে গরীবের কাঁটে না একবেলা।
করোণা’র আঘাতে জর্জরিত লক্ষ পরিবার,
ঘুরে ফিরে নানান বিপদ আসছে বার বার।
চকচকে স্বর্ণ পরিহিত মানুষগুলোর খিদে নেই রয়েছে নষ্ট ভাবনা,
খেতে বললেই বলবে কিছু খাব না।
ওরা মানুষ খাবে, জমি খাবে, চাকুরি খাবে, খাবে পরিচ্ছন্ন সমাজ,
চোখে মুখে রয়েছে ধূর্তামী, একটুও নেই লাজ।
বাজাও আমের আঁটির ভেঁপু, করো সিষ্টেমে আঘাত,
দুর্নীতির পরিণাম কী? মিটাও তাদের সাধ।
২.
মহাশয়ের হাতে অনেক ক্ষমতা নানান রকম ধারা,
অবৈধ অর্থের সিন্দুকটা ভরছে যারা।
মহাশয় নির্দ্বিধায় বলে ফেলে কিসের রাজনীতি,
দেশের কথা ভাবিনি, চুমকী শুধু তুমি আর আমি।
মাঝে মধ্যেই নানান অজুহাতে যায় বিদেশ,
কীভাবে ছুরি ধার দেয় তা শিখতে গরীবের টাকা শেষ।
ওরে সর্বনাশ! বালিশের দাম এত টাকা,
দু’ বেলা পেট ভরে খেতে চাই কিন্তু সবটাইতো ফাঁকা।
মহাশয়দের একের পর এক দূর্নীতির নানা ঘটনা,
তবু কেন চুপ? শুধুই তাদের বন্দনা।
দশে এখনও রয়েছে অনেক দেশপ্রেমিক রাজনীতিক,
মহাশয়দের মাথায় ঘোল ঢেলে শুধু সিষ্টেমটা পরিবর্তন করে নিক।
মহাশয় জানে চিকিৎসা শাস্ত্র, প্রকৌশল বিদ্যা একেবারেই সবজান্তা,
দেশের টাকা পাচার হয় তাই গরীব পায় না পান্তা।
৩.
শুধু চোখের পানি ফেলে করিমন বেওয়া,
তাঁর নেই কোন চাওয়া পাওয়া।
পুরোটাই তাঁর জানা জীবন মানে কষ্ট,
ধ্বংস হোক অণ্যায় পথে করছে আয় যারা পথ ভ্রষ্ট।
বিছানা, চূলো ডুবে দিয়েছে শ্রাবণের বৃষ্টি ধারা,
অজস্র বেদনায় তাঁর জীবন সারা।
গেল বণ্যার আগে স্বামী চলো গেছেন পরপারে,
চোখ মুছতে মুছতে মনে করেন বারে বারে।
ভাবতে ভাবতে হয়ে যায় বেলা শেষ,
সারাদিন হয়নি খাওয়া তারপরও বলে আছি বেশ।
৪.
দুঃখের মাঝে আনন্দের দিনে জেগে উঠুক ভ্রাতৃত্ববোধ,
মানুষের ভালবাসার ঋণ হবে নাতো শোধ।
স্বপ্নে স্বপ্নে জেগে থাকা হৃদয় ভরা আনন্দ,
আমের আঁটির ভেঁপু বাজা নেচে উঠুক চার দিগন্ত।
সকল বিভেদ দূরে ঠেলে মেতে উঠুক উৎসবে,
আলো ঝলমলে হাঁসিগুলো ছড়িয়ে পড়–ক নানা ভাবে।
ধনী গরীব সকল ভেদাভেদ করি ছিন্ন,
এবারের ঈদ একেবারেই ভিন্ন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |