তানজিনা তাজিন | ০৮ আগস্ট ২০২০
ইউএনডিপি’র গবেষণা অনুযায়ী,কোভিড ১৯-এর কারণে যে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে, তা থেকে বাঁচতে প্রায় ৬.৫৩ কোটি মানুষকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান করা প্রয়োজন। সরকারকে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। জাতিসংঘের বিবেচনায় প্রতি মাসে ২১০০ টাকা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে সুবিধাভোগী মানুষ প্রধানত গরীব এবং যারা দরিদ্র্যতায় পড়েছে, তারা যাতে ঘরে থাকতে পারে। ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে এটা সহায়ক হবে।
বর্তমানে সংক্রমণের হার উচ্চ এবং ভাইরাস সারা দেশে যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তাতে বিশ্বের মধ্যে ১৬তম ভয়াবহ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সম্পদ বণ্টনে অব্যবস্থার ফলে এই পরিস্থিতি আরো বেড়েছে। এই মুহূর্তে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। মহামারীর কারণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়েছে কম আয়ের মানুষ, এদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নারী, তরুণ, অভিবাসী শ্রমিক, শরণার্থী এবং প্রতিবন্ধী মানুষ – যাদের কেউই সামাজিক বীমার সাথে সম্পর্কিত নয়।
ব্রাক জরীপ অনুসারে, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশের ৫১ শতাংশ পরিবারের উপার্জন শূন্যে নেমে যায়। এ অবস্থায় অনাহারে থাকতে হচ্ছে এইসব আয়হীন মানুষদের।এ জাতীয় নগদ অর্থ না থাকলে সত্যিকার অর্থে তারা অনাহারে থাকবে। সুতরাং জাতীয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অতি দ্রুত আর্থিক সহায়তা দেয়া উচিত। পরীক্ষা বাড়ছে, যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি, দ্রুত পদক্ষেপ জরুরী।
সরকারকে আবশ্যিকভাবে এই বিশাল কাজটির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করতে হবে । এই মানুষদেরকে সাহায্য করা-তাদের খাবার কিনে দেয়া,স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার খরচ দেয়া ইত্যাদির জন্য আনুমানিক ১৬২৩.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এর জন্য নিজস্ব উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের প্রয়োজন হবে, সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বেসরকারি খাত থেকেও। জরুরী অবস্থাতে অর্থ তহবিল যথেষ্ট থাকলেও কোনো কাজে আসবে না, যদি না সেই অর্থ সঠিকভাবে পরিচালিত হয় এবং যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদেরকে না দেয়া হয়।
সরকার ১২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন প্রায় ৫০ লক্ষ পরিবারের জন্য এবং একটি পরিবার প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা পাওয়ার কথা, তবে সুবিধাভোগীদের তালিকার মধ্যে সরকার কেবলমাত্র ১৬.১৬ লক্ষ পরিবারের মধ্যে অর্থ বিতরণ করতে পেরেছে। তালিকা সংশোধন করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে, অর্থ বিভাগ অনুসারে ১০ লক্ষের মতো পরিবারকে আসন্ন ঈদের আগে অর্থ প্রদান করা হবে। এটি হচ্ছে জনসংখ্যার সামান্য একটি অংশ। নতুন তহবিল বিতরণের আগে, পূর্বে যে অনিয়ম হয়েছিল, তা অবশ্যই নির্মূল করে সামনে আগাতে হবে। এর মানে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করা সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা চিহ্নিত বৈধ সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করতে হবে।
বর্তমানে অর্থ ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে সরবরাহ হতে পারে। হাতের কাজ অবশ্যই নিঃসন্দেহজনক। কিন্তু এই পদ্ধতি জরুরী ভিত্তিতে ব্যবহৃত হতে পারে এবং রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি থাকলে সাধিত হতে পারে। ৬.৫৩ কোটি মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে, নষ্ট করার কোন সময় নেই।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |