সুজিত মন্ডল | ১৯ আগস্ট ২০২০
আফ্রিকার দেশ মালিতে সেনা সদস্যদের একটি বাহিনীর কাছে বন্দী হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোউবাকার কেইতা। বন্দী হওয়ার পর কেইতা প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমের এক বিবৃতিতে তিনি মালি সরকার এবং মন্ত্রী সভাকে অকার্যকর বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন,”আমাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য কোনরকম রক্তপাত হোক, সেটা আমি চাই না”।
উল্লেখ্য, পূর্বে মালির প্রধানমন্ত্রী বোউবোউ সিসেক এবং প্রেসিডেন্ট কেইতাকে বন্দী বানিয়ে সেনা সদস্যেরা দেশটির রাজধানী বামাকোর একটি ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। এখানেই আন্দোলনকারী সেনা সদস্যেরা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে পদ থেকে অব্যাহতি নেয়ার জন্যে চাপ সৃষ্টি করে। তাই বাধ্য হয়ে তারা দুইজন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ফ্রান্স সহ পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ।
এ বেপারে প্রেসিডেন্ট কেইতা বলেছেন, আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা সেনা সদস্যরা ক্ষমতায় হস্তক্ষেপের জন্য চাপ সৃষ্টি করায় তার সরকার এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন এছাড়া তার কাছে আর কোনো উপায় ছিলো না।
জানা গেছে বেশ কিছুদিন ধরেই দেশটির সেনা সদস্যদের মধ্যে পারিশ্রমিক এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়ে দ্বেষের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া তাদের সাথে জিহাদ সদস্যদের যুদ্ধের ব্যাপারেও বিক্ষেপ দেখা দিয়েছিল। এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে তারা সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে।
দুই বছর আগে ২য় বারের মতো মালির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কেইতা। তবে তিনি পদে আসীন হওয়ার পরে দেশটিতে নানা ধরনের অরাজকতা এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কেইতার ক্ষমতা চলাকালীন সময়ে একাধিকবার দেশটিতে বিক্ষোভের সূচনা হয়। যার কারণে সেনাবাহিনী এবং দেশের অনেক নাগরিক তার সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলো।