দি গাংচিল ডেস্ক | ১১ আগস্ট ২০২০
সোমবার গণভবনে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বন্যা মোকাবেলা ও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের নির্দেশনা দিয়েছেন। বন্যা দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যদি তা ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি হয়। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজে সংশ্নিষ্ট সবাইকে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আবার একই সঙ্গে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা এবং এ নিয়ে সকলের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় মাঠ প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে মন্ত্রী ও সচিবরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অংশ নেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাক্ষরের দ্বৈত করারোপ পরিহার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২০-এর রাজস্ব ফাঁকি রোধ ও খসড়া নীতিগত অনুমোদন সংক্রান্ত চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ ব্যপারে জানান, তিনটি কাজ একটি প্রকল্পের অধীনে বাস্তবায়ন করার কথা রয়েছে- ঘরবাড়ি পুননির্মাণ, স্থানীয় সরকার ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর মেরামত এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে অন্তর্ভুক্ত আছে। যদি কোথাও নদীর বাঁধ ভেঙে যায় তা তাড়াতাড়ি মেরামত করার জন্য সেখানে বড় অঙ্কের টাকা ধরা আছে। সে বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা বড় ধরনের পুনর্বাসন কর্মসূচি আছে। তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন, আমনের বীজ যেন নষ্ট না হয়ে যাওয়া সে জন্য বীজতলা একটু উঁচু জায়গায় করতে হবে। রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলেছেন তিনি। রোপা আমন ঠিকঠাক হলে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা কমে যাবে। গতবার আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন, এবার ৩৬ লাখ টন। সে তুলনায় এখন কিছুটা কম হতে পারে। তবে গতবারের তুলনায় উৎপাদন বেশি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে পুনর্বাসন কর্মসূচি ও বন্যা নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে পানি ধীরে ধীরে নেমে যাচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু ব্রিজের কাছে বিপদসীমার বেশ নিচে চলে গেছে। পদ্মা নদীর পানির গতি ও স্তর কমে গেছে। তিনি বলেন, ভারতের আবহাওয়া বিভাগের অনুমান অনুযায়ী আগে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে জন্য নির্দিষ্টভাবে সংশ্নিষ্টদের সতর্ক করেছেন, সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে।