লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছে স্কুলছাত্রী।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় ওই ছাত্রীর মা রাশিদা খাতুন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে আসামি করা হয়েছে আক্তার হোসেনসহ পাঁচজনকে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট ইউনিয়নের লতাবর গ্রামের জহির উদ্দিনের স্কুলপড়ুয়া সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের খোরশেদ আলমের লম্পট পুত্র আক্তার হোসেন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্কের কারণে একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ছাত্রীটি বর্তমানে ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।

একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বার ঘটনাটি প্রকাশ হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চালায় কিন্তু ধর্ষকের পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে।

এদিকে ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১ সেপ্টেম্বর কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়ি ফেরার পথে তুষভান্ডার চিড়ার মিল নামক স্থানে ধর্ষকের ভাইয়েরা ধর্ষিতাকে অপহরণ করার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রীর মা এবং মামলার বাদি রাশিদা খাতুন জানান, আমি আমার মেয়ের সঙ্গে হওয়া ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তির কঠিন শাস্তি চাই।

তিনি আরো বলেন, খোরশেদ আলমের সবকটা ছেলেই চরিত্রহীন। এলাকায় আরো অনেকেরই এরকম ক্ষতি করেছেন তারা। এই ঘৃণিত কাজের জন্য তাদেরকে এমন শাস্তি দেওয়া হোক এলাকার আর কারো ক্ষতি যেন করার সাহস তারা না পান।

তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন অপরিচিত নম্বর দিয়ে বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিয়ে চলছে। বুঝতে পারছি না তারা আবার কখন কি ক্ষতি করে বসেন আমাদের।

অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে আসামি আক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। কথা হয় ধর্ষকের ভাই আসামি আকরামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যে।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তদন্তসাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।