দি গাংচিল ডেস্ক | ১২ আগস্ট ২০২০
বুধবার ভিয়েতনাম পুলিশ ১৫ জন বাংলাদেশিকে হো চি মিন সিটি এলাকা থেকে আটক করেছে। সকালে আটক করার পরে তাদের একটি শিবিরে নেওয়া হয়েছিল। আটককৃত কয়েকজন ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশ গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশি নাগরিকরা ভন টাও থেকে হ্যানয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।রাতে তারা হো চি মিন এলাকায় অবস্থান করে। আজ সকালে একটি বাসে ওঠার সময় বাংলাদেশিদের আটক করা হয়।
তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। এর আগে, তারা জানিয়েছিল যে দালালরা ভিয়েতনামে পৌঁছানোর সাথে সাথে তাদের পাসপোর্ট নিয়ে গেছে। এজেন্টদের দ্বারা তা্রা যে প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলো সে অনুযায়ী চাকরি ও বেতন দেওয়া হয়নি।
পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশীরা তাদের দেশে ফিরে যেতে চেয়েছিল। আটককৃত ১৫ জনের মধ্যে চৌদ্দজনকে সনাক্ত করা গেছে।তারা হলেন- সায়েফ, শফিক, চাঁদ আলী, মমিন, কাদির, ইসমাইল, আলী, নজরুল, মামুন, শহীদ, আনোয়ার, রাজু, আমিক ও সজীব।আটককৃত বেশ কয়েকজন পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে ভিয়েতনামে গিয়েছিল।
তাদেরকে মাসিক ৫০০ ডলার বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এবং নিয়োগকারী সংস্থা তাদের খাওয়ার জন্য ব্যয় বহন করবে বলে জানিয়েছিলো। তবে, ভিয়েতনামে পা রেখে বাংলাদেশীরা বুঝতে পেরেছিল যে তারা প্রতারিত হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, তারা কিছু সময় ধরে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন, কিন্তু বেতন পাননি। দালালরা তাদের বেতন কেড়ে নিয়েছিল এবং বেতন দাবি করায় তাদের কয়েকজনকে নির্যাতনও করা হয়েছিল।
এদিকে, বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েতনামে বাংলাদেশি আটকদের সম্পর্কে তথ্য অস্বীকার করেছে। ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা কোনও বাংলাদেশি আটক হওয়ার বিষয়ে অবগত ছিলাম না।”
এদিকে, ১১ জুলাই ভিয়েতনাম থেকে ১১ বাংলাদেশি খালি হাতে দেশে ফিরেছেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ||||
৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ |
১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ |
১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ |
২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |