সুজিত মন্ডল | ১৩ আগস্ট ২০২০
গতকাল রাতে পর্তুগালের লিসবনে নাটকীয়তা পূর্ণ ম্যাচে আটালান্টাকে ২-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি ফাইনালে পৌঁছে গেছে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
আর এই জয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ পেল পিএসজি।
রোমাঞ্চকর এই ম্যাচের ৮৯ মিনিট অবদি চালকের আসনে ছিলো আটালান্টা। কিন্তু ৯০ তম মিনিটের সময় মার্কিনিয়োসের করা গোলে ম্যাচে ঘুরে দাড়ায় পিএসজি।
আর তার ঠিক ৩ মিনিট পর অবাক করা গোলে আটালান্টার জয়ের আশায় জল ঢেলে দেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ম্যাচের শুরুটা ভালোই করেছিলো পিএসজি। মাত্র ৩ মিনিটের সময় গোলরক্ষককে একা পেয়েও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন নি পিএসজির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার নেইমার। প্রথমার্ধে এমন আরো কয়েকবার সুযোগ সৃষ্টি হলেও তাতে সফল হতে পারছিলেন না নেইমার এবং তার সতীর্থরা।
অবশেষে আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণের মাধ্যমে ম্যাচের ২৬ মিনিটের সময় গোল করে বসে আটালান্টা। মিডফিল্ডার মারিও পাসালিচের দারুণ গোলের সুবাদে ম্যাচের লিড নেয় আটালান্টা।
২৮ তম মিনিটের সময় আবারও সুযোগ পান নেইমার, কিন্তু দূর থেকে সরাসরি নেওয়া তার শট গোলবারের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে গোল করায় মরীয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। কিন্তু সুযোগ কাজে না লাগাতে পারার কারণে গোল করা থেকে বঞ্চিত হয় তারা।
ম্যাচের ৭৩ তম মিনিটের সময় বদলি হিসেবে মাঠে নামা কিলিয়ান এমবাপ্পের দারুণ শট গোলরক্ষকের পায়ে লেগে ফিরে আসে। তার ঠিক ৭ মিনিট পরে আরো একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন তিনি।
ম্যাচের শেষ মূহুর্তে আটালান্টা যখন সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন বুনছিল, ঠিক তখনই চমক সৃষ্টি করে তাদেরকে হতাশায় নিমজ্জিত করেন পিএসজির মার্কিনিয়োস।
নিজে গোল করতে না পারলেও সম্পূর্ণ ম্যাচে ছিলো নেইমারের আধিপত্য। দারুণ কিছু সুযোগ তৈরিও করেন তিনি। অবশেষে ৯০ তম মিনিটের সময় তার পাস থেকে গোল করে ম্যাচে সমতায় ফেরে পিএসজি। ডি-বক্সের ভেতরে চুপো-মোটিং প্রথমে পাস দেন নেইমারকে। নেইমারের শট প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে ফিরে আসলে, সেই বল গোলে টোকা দিয়ে গোল পেয়ে যান মার্কিনিয়োস।
তবে খেলার চমক এখানেই শেষ নয়। ম্যাচের যোগ করা সময়ের ৩য় মিনিটে নিজেদের দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় পিএসজি। নেইমারের বাড়ানো বল ডি বক্সে চুপো-মোটিং এর উদ্দেশ্যে ঠেলে দেন এমবাপ্পে। আর সেই বল থেকেই দুর্দান্ত গোল করে আটালান্টার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন চুপো-মোটিং।
চুপো-মোটিং এর গোলের বিনিময়ে ম্যাচে ২-১ গোলের লিড নেয় পিএসজি এবং এই ব্যবধানে খেলা শেষ করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফরাসি ক্লাবটি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ||
৬ | ৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ |
১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ |
২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ |
২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |