সুজিত মন্ডল | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
শনিবার আরও তিনজনের লাশ খুঁজে পাওয়ায় এবং বেঁচে যাওয়া দু’জনের একজন হাসপাতালে মারা যাওয়ার পরে ইউক্রেনের সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের চুগিয়েভ শহরের নিকটে অ্যান্টানোভ এএন-২৬ নামের একটি সামরিক বিমান ২০ জন তরুণ ক্যাডেট এবং সাত জন ক্রু সদস্যকে নিয়ে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছিল। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি খারকিভের পূর্ব শহরটির নিকটে ট্র্যাজেডির ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
চুগিয়েভ সামরিক বিমান ঘাঁটি থেকে প্রায় দু’ কিলোমিটার দূরে অবতরণের সময় বিমানটি পতিত হলে তাতে আগুন ধরে যায়। দমকলকর্মীরা এক ঘন্টা চেষ্টার পরে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
এই দুর্ঘটনায় মোট ২৭ জন যাত্রীর মধ্যে ঘটনাস্থলেই বাইশ জন মারা যায় এবং দু’জন বেঁচে গিয়েছিলেন। গতকাল শনিবার নিখোঁজ হওয়া তিন জনের লাশ পাওয়া গেছে এবং বেঁচে যাওয়া দু’জনের একজন হাসপাতালে মারা গিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবারকে শোকের দিন হিসেবে ঘোষণা করে ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, “ইউক্রেন ২৬ জন সুযোগ্য সন্তানকে হারিয়েছে”
তিনি বলেন, পঁচিশজন ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছিলেন এবং হাসপাতালে আরও এক জন বেঁচে যাওয়া ক্যাডেটের মৃত্যু ঘটেছে।
তিনি আরও বলেছেন, “এই ক্ষতির বেদনা জানাতে শব্দ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।”
দুর্ঘটনার কারণটি দ্রুত খুঁজে বের করতে এবং এর উদ্দেশ্যে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের এসবিইউ সুরক্ষা পরিষেবা জানিয়েছে যে বিমানটি দিয়ে একটি প্রশিক্ষণমূলক উড্ডয়ন পরিচালনা করা হচ্ছিলো তবে খারকিভ ন্যাশনাল এয়ার ফোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডেটরা উড্ডয়নটি পরিচালনার জন্য জড়িত ছিল না।
প্রাথমিক তথ্য উদ্ধৃত করে সুরক্ষা পরিষেবা বলেছে, পাইলট ইঞ্জিনের ব্যর্থতার কথা জানানোর মিনিট সাতেক পরে বিমানটি মাটিতে পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যান্ড্রি তারান বলেন, বিমানটির পাখা সম্ভবত মাটিতে স্পর্শ করেছিল এবং তার কিছুক্ষণের মধ্যেই এটিতে আগুন ধরে যায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছিল। বিমানটি ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণমূলক উড্ডয়ন চালাচ্ছিল এবং ইনস্ট্রাক্টর সেটা পরিচালনা করছিলেন।
তারান আরও জানান, বিমানটি ১৯৭৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল তবে এটি খুব ভাল অবস্থায় ছিল।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজেজ দুদা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং ইইউ-র শীর্ষ কূটনীতিবিদ জোসেপ বোরেল সহ একাধিক বিদেশী নেতা উইক্রেনের এই বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাস ফেসবুকে জানিয়েছে, “আমরা এএন-২৬ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ক্যাডেট, অফিসার এবং ক্রুদের পরিবার এবং তাদের প্রিয়জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |