| ০৪ জুলাই ২০২০
দুই:
অনেক রকমের কর্মকান্ডই করে রাজনৈতিক নেতৃত্বরা যার মূল লক্ষ্যই ক্ষমতায় আকড়ে থাকা বা যেকোন উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া, উদ্ভুত পরিস্থিতির ফায়দা লোটার জন্য মোটামুটি সবাই ওত পেতে থাকে মিডিয়া মোগল থেকে ছিচকে চোর ঝোপ বুঝে কোপ মারার অপেক্ষায়।
বর্তমানের এই তথ্য মহাপ্লাবনের যুগে কতদ্রুত কতমানুষের কাছে পৌছানো যায় মিডিয়া ব্যাস্ত তার হিসাব নিকাশ নিয়ে আর এর মধ্যে বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে আপন মুঠোফোনে টুইটের ঝড়ে আরও ব্যস্ততা বাড়িয়ে দিয়ে মিডিয়ার কাজকে সহায়তা করে যাচ্ছেন জনাব ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছি এইসব তথাকথিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্যাড়াকলে বুঝে না বুঝে লাইক, কমেন্টস, শেয়ার করে যাচ্ছি তাতেই পোয়াবাড়ো অনেকেরই।
উল্টো চিত্রও আছে ওকলাহোমায় কয়েক লক্ষ লোকসমাগম হবে বলে প্রচার করে মাত্র ছয় থেকে সাত হাজার উপস্থিতে বিরক্ত হয়েছেন জনাব ডোনাল্ড ট্রাম্প , শোনা যায় কিছু সংখ্যক কিশোর কিশোরী টিকটক ব্যবহার করে এই পরিস্থিতি তৈরীতে সহযোগীতা করেছে, প্রযুক্তির ব্যবহারে বর্তমান কিশোর কিশেরীরা যথেষ্ঠ দক্ষ সন্দেহ নেই তারা অনেক সচেতন একথা মনে রাখাটাও জরুরী।
মার্কিন মুল্লুকে ঘনিয়ে আশা নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে চলছে কোভিড-১৯ মহামারীর মৃত্যুর মিছিল, বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন , ইতিহাস ঐতিহ্যকে নতুন করে দেখার প্রয়াস। হয়তো কিছু অর্জন হবে কালোমানুষের পক্ষে কিন্তু মানবতার মহান ব্রতে নিজেদের শ্রেষ্ঠ বলে দাবীদার মার্কিন শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের কলঙ্কজনক দিকগুলো আবারও উন্মোচিত হয়েছে বিশ্ববাসীর সামনে।
অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে যে দাস পদ্ধতি চালু হয়েছিল শত শত বছর আগে তার দুষ্টচক্র মুছে যায়নি বলেই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও অসহায় মানুষ মানুষেরই তৈরী কর্ম পদ্ধতিগুলোর কাছে। এক কভিড ১৯ ভাইরাসের কাছেই নাস্তানাবুদ ক্ষমতাধর এই দেশটি, প্রতিদিন সংক্রমন লক্ষাধিক ছাড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ কিছু দেশের জন্য সীমানা খুলে দিলেও সেই তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র নেই,
ভাইরাস সংক্রমনের শুরু থেকেই খুব একটা পাত্তা না দেয়ার খেসারত দিতে হচ্ছে দেশটিকে, সবার আগে আমেরিকা (America First) শ্লোগানে সারা পৃথীবি থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন অদৃশ্য দেয়ালে, সে দিক থেকে দেয়াল তোলায় সফল হয়েছে দেশটি, যদিও নিজেদের স্বার্থের বাইরে যাওয়ার নজির তাদের নেই।
যেই দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কালোমানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক তেমন কিছুই হবে আশা করাটাও মুশকিল, কারন মূলধারার রাজনীতির বাইরে যাওয়ার কোন লক্ষন তাদের কখনও ছিল না, সে ডেমোক্রাট বা রিপাবলিকান যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন।
করোনা পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় নেতৃত্বের যে শূন্যতা পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে মহামারীর চেয়েও জটিলতা নিরসনে সামনের সারিতে কে আসে তার অপেক্ষায় থাকতে হবে অন্তত আরো বছর খানিক।
রফিকুজ্জামান মহিদ লেখক ও মানবাধিকার কর্মী
চলবে…….
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |