দিগাংচিল ডেস্ক | ১৩ মার্চ ২০২২
ডিমেনশিয়া (Dementia) বয়স্কদের একটি সাধারণ সমস্যা। এই অবস্থায় রোগীর জ্ঞানীয় কার্যকারিতা, চিন্তাভাবনা, মনে রাখা এবং যুক্তিবোধের ক্ষতি হয়। কিছু ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া এমন পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে পারে যে আক্রান্তের দৈনন্দিন জীবন এবং কাজকর্মও স্তব্ধ হয়ে পড়ে। ডিমেনশিয়া আক্রান্ত মানুষ অনেকক্ষেত্রে আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং তাদের ব্যক্তিত্বে বড় বদল দেখা যায়। দ্য ল্যানসেটের একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০৫০ সাল নাগাদ ভারতে ডিমেনশিয়ার ঘটনা দ্বিগুণ হবে৷ সমীক্ষা বলছে ২০১৯ সালে ৩৮ লক্ষ আক্রান্ত ছিলেন এই রোগে, সংখ্যা বাড়তে বাড়তে হবে ১.১৪ কোটি৷
জাপানের জার্নাল অফ হিউম্যান সায়েন্সেস অফ হেলথ-সোশ্যাল সার্ভিসেস-এ প্রকাশিত ২০১১ সালের একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে আমাদের জীবনধারা এবং ডিমেনশিয়া (Dementia) রোগের সম্ভাবনার মধ্যে একটি মূল যোগসূত্র রয়েছে। ছয় বছর ধরে চলা এই গবেষণাটি জাপানের এক প্রধান শহুরে অঞ্চলের কাছে একটি কৃষক সম্প্রদায়ের উপর করা হয়েছিল। গবেষকরা ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মোট ৫২৫ জন প্রাপ্তবয়স্ককে গবেষণা চলাকালীন পর্যবেক্ষণ করেন।
বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে প্রাতঃরাশ না করা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ডিমেনশিয়া (Dementia) রোগ চার গুণ বেশি ছিল। সমীক্ষায় আরও জানানো হয়েছে যে যারা খুব সামান্য পরিমাণে জলখাবার খায়েছেন তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়া ২.৭ গুণ বেশি, যে সমস্ত অংশগ্রহণকারীরা নুন খাওয়ার বিষয়ে সচেতন ছিলেন না তাদের মধ্যে ২.৫ গুণ বেশি এবং যারা পুষ্টির ভারসাম্যের তোয়াক্কা করেন না তাদের মধ্যে ২.৭ গুণ বেশি।