দি গাংচিল ডেস্ক | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
একাধিক তরুণীকে ধর্ষণ এর অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকা থেকে দেওয়ান রসুল হৃদয় নামে ২৫ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ভাটারা থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় নির্যাতন এর শিকার ৪ তরুণীর দেয়া জবানবন্দি গ্রহণ করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ফেসবুকীয় বন্ধুত্বের প্রস্তাবে গত ১২ই সেপ্টেম্বরে গাজীপুরে পুলপার্টিতে যান ভুক্তভোগী এক তরুণী। সে পার্টিতেই সিরিয়াল ধর্ষক দেওয়ান রসুল হৃদয় এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন তার ফেসবুকীয় বান্ধবী। তারপর ১৪ই সেপ্টেম্বর হৃদয় ভাটারায় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন এই ২ জন তরুনীকে। ১৬ই সেপ্টেম্বর তরুনীকে ধর্ষণ করে হৃদয়।২০ সেপ্টেম্বর আরও ২ নারী সেই সহযোগীর মাধ্যমে তার বাসায় আসে। তারপর তারাও পালাক্রমে ধর্ষণ এর শিকার হয় হৃদয়ের দ্বারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশ এর বাড্ডা জোন এর সহকারী কমিশনার এলিন চৌধুরী জানিয়েছেন, মামলার এজাহারে বলা হয়েছে- নিজের চেষ্টায় কিছু করবেন বলে বাবা-মাকে না জানিয়েই গত ১০ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে বের হয়ে আসেন প্রথম বাদী। তিনি রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা রিং রোড এ বান্ধবীর বাসায় এসে উঠেন । অতঃপর ২ বান্ধবী একসাথে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর ফেসবুক এর মাধ্যমে পরিচিত তাদের আরেক বান্ধবী পরেরদিন ১১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের পুলপার্টিতে যেতে ২য় বাদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। ওখানে যাওয়ার পর সে বান্ধবী অভিযুক্ত হৃদয় এর সাথে ২ জনের পরিচয় করিয়ে দেয়। সেইসাথে তাদের আশ্বস্ত করেন যে, প্রয়োজন হলে এই হৃদয় তাদের থাকার বন্দোবস্তও করে দিতে পারবে।
এর দুদিন পর ১৩ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত তরুণ হৃদয় ফোন দিয়ে সেই ২ তরুণীকে বলেন চাইলে তারা ভাটারা থানাধীন ৮৫ কুড়িল পিনাকল পাম্পসংলগ্ন তার বাসায় থাকতে পারেন। সেইমোতাবেক পরদিন ১৪ সেপ্টেম্বর ২ বান্ধবী ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্ক এ যান।
তারপর হৃদয় ২ বন্ধবীকে তার ভাটারার বাড়ীর নিচতলার একটি কক্ষে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। এর ২দিন পর ১৬ সেপ্টেম্বর মামলার ১ম বাদীর সাথে কথা বলার জন্য হৃদয় তার ৩য় তলার ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানেই একপর্যায়ে নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে হৃদয় জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তরুনীটিকে। ধর্ষণ এর কথা গোপন রাখার জন্য হুমকি দেয় হৃদয়।
এই ঘটনার ৪ দিন পর ২০ সেপ্টেম্বর পাশের কক্ষেই ২ বাদী এসেছিলেন। রাতের দিকে আলাপচারিতার একপর্যায়ে আলোচনায় এ বিষয় উঠে আসায় এদের ১ জনকে নানান ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে হৃদয়। সেইসাথে অপরজনের শ্লীলতাহানি করে সে। এ পরিস্থিতিতে গত সোমবার পর্যায়ক্রমিক ধর্ষণ এর ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এলিন চৌধুরী আরোও জানান, গত শনিবার বিষয়টি জানার পরই ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার এ পাঠানো হয়েছে। তারপর অভিযান চালিয়ে সে বাড়ী থেকেই হৃদয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ধর্ষণ এর শিকার ৩ জন এবং যৌন হয়রানির শিকার একজনসহ মোট ৪ জন পুলিশ এর কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন, স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় হৃদয় দেড় বছর জেলে ছিলেন। সেই সময় তাদের বিয়েবিচ্ছেদও ঘটেছিলো। এই সিরিয়াল ধর্ষণ ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |