দি গাংচিল ডেস্ক | ১৫ আগস্ট ২০২০
একুশে পদক বিজয়ী দেশ বরন্যে শিল্পী মুর্তজা বশির কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। আজ (শনিবার) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মুর্তজা বশির এর মেয়ে মুনীর বশীর জানিয়েছেন, শনিবার জোহর থেকে আসরের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে মুর্তজা বশীরকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
শুক্রবার ভোরে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি হন।
৮৮ বছর বয়সী বশির দীর্ঘদিন থেকেই হার্ট, ফুসফুস, কিডনি এবং বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার তার করোনা টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছিলেন।
বাংলার জ্ঞানতাপস,ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র কনিষ্ঠ সন্তান মুর্তজা বশীরের জন্ম ১৯৩২ সালের ১৭ অগাস্ট ঢাকার রমনায়। তিনি চাট্টোগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।
মুর্তজা বশীরের শিক্ষা জীবন শুরু হয় ঢাকার নবকুমার ইনস্টিটিউশনে। এরপর তিনি শিক্ষাগ্রহণ করেছেন বগুড়ার করোনেশন ইনস্টিটিউশন, ঢাকা গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টস (এখন যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) ও কলকাতা আশুতোষ মিউজিয়ামে।
এছাড়াও ইতালির ফ্লোরেন্স একাডেমি দেল্লে বেল্লে আরতিতে চিত্রকলা ও ফ্রেস্কো বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। পরে প্যারিসের ইকোলে ন্যাশিওনাল সুপিরিয়র দ্য বোজার্ট এবং আকাদেমি গোয়েৎসে মোজাইক ও ছাপচিত্রে অধ্যয়ন করেন তিনি।
পরে আইসিসিআর ফেলোশিপ নিয়ে তিনি ‘বাংলার শিল্প ঐতিহ্যের’র উপর গবেষণা করার জন্য ভারতের বিভিন্ন জাদুঘর প্রদর্শন করেন। অতপর ‘মন্দির টেরাকোটা শিল্প’ বিষয়েও তিনি ভারতে গিয়ে গবেষণা করেন।
১৯৫৫ সালে ঢাকার নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রইং শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মুর্তজা বশীর। ১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে অবসরগ্রহণ করেন।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |