| ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০
সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা
পরাধীন বাংলা মাকে ভেবে।
এক সোনালী স্বপ্ন নিয়ে
বঙ্গবন্ধু !
তুমি ভেবেছিলে মনে
পরাধীনতার শৃঙ্খল হতে
এ বাঙ্গালি জাতিকে
মুক্তি দিতে হবে
এক কঠিন লড়াই লড়ে।
তাই জীবনের সর্বসুখ ভূলে
নতুন ভোরের
ওই লাল ঢগঢগে
মুক্তির সূর্য্যটাকে দু,হাতে নিয়ে
জননেতার বেশে
তুমি এসেছিলে চলে
সবকিছু ফেলে
লাখ জনতার মাঝে
একটি স্বাধীন ভূখন্ডের তরে।
সমুহ বিপদে
গোলাগুলির ভয় ভূলে।
আইন আদালতের
রায়কে তুচ্ছ করে।
জেল হাজতের কষ্ট উড়িয়ে
তুমি তুলেছিলে ঝড় —
গন আন্দোলনে রাজপথ কাঁপিয়ে
এক কঠিন শপথ নিয়ে।
তুমি তুলেছিলে ঝড় —
লাগাতার হরতালে
বিক্ষোভ বিদ্রুপ সমাবেশে
তুমি তুলেছিলে ঝড় —
জনবিস্ফোরনে একের পর এক
শাসক বিরোধী কর্মসূচী দিয়ে দিয়ে।
তারপর
একে একে ইতিহাস হলো
পদ্মা,মেঘনা,যমুনা দিয়ে
কত জল গড়িয়ে গেল।
কত মায়ের কোল খালি হলো,
কত পিতার অশ্রু বুক ভাসাল
কত স্ত্রী স্বামীহারা হলো
কত স্বামী স্ত্রীহারা হলো
কত বোন ভাইহারা হলো,
কত ভাই বোনহারা হলো
কত সাধের বাড়ীঘর লুটপাট হলো
কত সাজানো জনপদ পুড়িয়া গেল,
কত কান্নার জল জলে ভাসিয়া গেল।
অবশেষে
জনতার বাঁধভাঙ্গা জনস্রোতে
শতঃস্ফূর্ত সমার্থনে
আার ব্যাপক উল্লাসে
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে
স্বরণকালের সভায়।
এক গগন ভেদি
পাগল করা ভাষায়।
বজ্রকন্ঠে তোমার শানিত আওয়াজ
“এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম”
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”
ধনিত হলো, লাখ লাখ জনতার মাঝে।
দেশপ্রেমের এক ঐতিহাসিক নজির গড়ে।
তামাম বিশ্বকে জানান দিয়ে।
হে মহান বীর
হে বঙ্গবন্ধু —-
শুধু তুমি ছিলে তাই
তাই তোমার বজ্রকন্ঠের আহব্বানে,
তোমার নির্ভীক অঙ্গুলিহেলনে
তোমার অকুতভয় হুংকারে,
তোমার আপসহীন সংগ্রামে
বাঙ্গালির রক্তে আগুন ধরিল।
তোমার স্বাধীনতা ঘোষনায়
এক মারন যুদ্ধের দামামা বাঁজিল।
হে মৃত্যু্ঞ্জয়ী
হে বঙ্গবন্ধু —-
শুধু তুমি ছিলে তাই
শহর, বন্দর, গ্রাম, গন্জ, বন বনান্চলে
রাজপথ, মেঠপথ, তেপান্তরের মাঠে ঘাটে
ছাত্র যুব আবাল বৃদ্ধ বনিতা
তোমার আহব্বানে সাড়া দিল।
জীবন বাজি রেখে
এক কঠিন লড়াইয়ে অংশ নিল।
দাঁড়াল রুখে, অস্ত্র হাতে
হাসিমুখে স্বাধীনতার তরে।
জীবন দেবে তবু পিছবে না তারা
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাংবে বলে,
বাংলা মায়ের অশ্রু মুছাবে বলে,
সাতকোটি সন্তানের দুঃখ ঘুচাবে বলে।
হে আপসহীন
হে বঙ্গবন্ধু —-
শুধু তুমি ছিলে তাই
শাসকের সব শর্ত
এক ঝটকায় গুড়িয়ে গেল।
রাজাকার, আলবদরের সব ফতোয়া
ফুৎকারে উড়িয়ে গেল।
ষড়যন্ত্রের সব পরিকল্পনা
নিমিষে উবিয়ে গেল।
হে জ্যোতির্ময়
হে বঙ্গবন্ধু —-
শুধু তুমি ছিলে তাই
ভারতবর্ষ দাড়াল রুখে
সামরিক শক্তি তোমায় দিয়ে
এক কোটি শরনার্থীকে অাশ্রয় দিয়ে।
রাশিয়া তোমায় অভয় দিল
রনতরী এসে কুলে ভীড়ল।
বৃটেন,ফ্রান্চ,অষ্ট্রেলিয়া, ইটালি,কানাডা
মিশর, ইরাক,পশ্চিম জার্মানী সহ
অন্যান্য মিত্রদেশ তোমার পক্ষ নিল।
হে লক্ষভেদী
হে বঙ্গবন্ধু —-
শুধু তুমি ছিলে তাই
লাগাতার আক্রমনে
হানাদারের সব পথ অবরুদ্ধ হল।
জলে, স্থলে, আকাশে
শাড়াসী আক্রমনে
পাক বাহিনীর পরাজয় হল।
পরাধীনতার শৃঙ্খল হতে
বাঙ্গালি জাতি মুক্তি পেল।
হে কালজয়ী
হে বঙ্গবন্ধু —-
শুধু তুমি ছিলে তাই
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী স্বসস্থ সংগ্রামে
এক নদী রক্ত ঢেলে।
ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে
তিন লক্ষ মা বোনের সম্ম্রমের বিনিময়ে
এদেশ স্বাধীন হলো
বাঙ্গালি জাতি স্বাধীনতা পেল।
বিশ্ব মানচিত্রে
এক নতুন ভূখন্ডের জন্ম হলো।
বাংলাদেশ তার নাম
বাঙ্গালির ভূমিই তার ধাম।
হে স্বপ্নদ্রষ্টা কবি
হে বঙ্গবন্ধু —-
শুধু তুমি ছিলে তাই
মুক্ত আকাশে পাখীরা উড়লো
ধুলো কাঁদা জলে শিশুরা খেললো
মন্দির মসজিদ সৌহার্দে উদ্ভাসিত হলো
রাজপথে, মেঠপথে, মুক্তির জয়গানে
বাংলা মায়ের মুখে হাসি ফুঁটলো
হে বিশ্ব বরেন্য
হে বঙ্গবন্ধু —-
শুধু তুমি ছিলে তাই
আজ এ বিশ্ব দেখতে পায়।
তোমার লাল সবুজের পতাকা খানি
সতত তুলেছে ধ্বনি।
বাঙ্গালি জাতি দূর্বল নয়
যে কোন সংকট, সংঘর্সে তারা
মাথা তুলিয়া রুখিয়া দাড়ায়।
তপন বিশ্বাস/কোলকাতা-১২৫
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |