| ০৪ আগস্ট ২০২০
দেশের ৩৩ টি জেলার মোট ১১,১,,৫০৮ টি পরিবার আক্রান্ত , আর এ বছর ভয়াবহ বন্যার কারণে ৪৩ জন মারা গেছে।
এছাড়াও এই পরিবারগুলির মোট ৫৪,৪০,৩৩১ জন মানুষ বিভিন্নভাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকারি ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকার ইতিমধ্যে তাদের জন্য ১৪৪১০ লক্ষ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছে। বরাদ্দকৃত ধানের মধ্যে শনিবার ঈদের দিন পর্যন্ত ৯২২১ মেট্রিক টন বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৩৩ টি জেলার ১৫৯ টি উপজেলা ও ১,০১৯ টি ইউনিয়ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাক, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ি, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লাক্সমিপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে।
এ ছাড়া দেশে বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪৩ জন মারা গেছে। এর মধ্যে জামালপুরে ১৫ জন, লালমনিরহাটে একজন, সুনামগঞ্জে তিনজন, সিলেটে একজন, কুড়িগ্রামে নয়জন, টাঙ্গাইলের চারটি, মানিকগঞ্জে দুজন, মুন্সীগঞ্জে একজন, গাইবান্ধায় একজন, নওগাঁয় দু’জন, সিরাজগঞ্জে দুজন ও দু’জন মারা গেছেন। গোপালগঞ্জ মারা গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে বন্যা ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলিতে ১,৩৩৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে মোট ৬৩৩৪০৯ জন পুরুষ, মহিলা ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত বন্যা ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলিতে নগদ ৩,৪৪,৫০,০০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১০ লক্ষ টাকার খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ,৬২,৫৪,০০০ টাকা।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |