| ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
বিপ্লব।
আমি মাতৃজঠরের ওমে লালিত —
মেয়ে জন্মের বিজ্ঞাপন।
নাড়ীছেড়া যন্ত্রনায় গভীর যে ক্ষত—
খন্ডখন্ড হয় দেশের মানচিত্র।
শিউলি কুড়ানো সকাল,রক্তচন্দন বিকেল-
গনগনে দুপুরের গাঢ় নিঃশ্বাস।
রাতের মধ্যে জেগে থাকা রাত–
আমার চিবুকে লিখে দিয়েছে–
স্যাতস্যাতে বাড়ি বদলের ইতিহাস।
অবোধ বাল্যকাল থেকে কৈশরের উন্মাদনায়।
অনাদেয় কটা কড়ি শেষ হোলো অন্যের দানে।
এতশত কপালে দাগ,মনের রক্তপ্লাবনে।
কিছু আলো মেপেছি শুধু তোমার জন্য।
লালটিপ,ফুল,জল মায়ের সুবাস মাখা দেহ।
যে শরীরের উত্তাপে মায়াসেতু বাধা হবে।
দুটি ঠোঁটের ভালোলাগায় তাপিত —
মেয়েবেলার অগোছালো উপন্যাস।
গল্পের উষ্ণতা বয়ে যায় আমার–
গ্রীবা,ঠোঁট,নিতম্ব,নাভি,পদপল্লবে।
হঠাৎ দেখি তুমি ভালোবাসার কবি হয়েছো।
লিখে ফেলেছো শরীরের কাব্যিক বর্ণনা।
আমার খোলা চুলের অন্ধকার তোমার–
অতি উজ্জ্বল আলোময় পথ।
আমার চোখের গভীরতায় পড়ে ফেলেছো–
দুশো বছরের পরাধীনতার ইতিহাস।
আমার ঠোঁট তোয়ায় চুম্বন করতে শিখিয়েছে।
আমার আলিঙ্গন তোমায় সুখ স্বপ্ন দেখায়।
আমার দেহের ওঠাপড়, তোমার দেহে সমুদ্রস্রোত।
আমার হাতেহাত রাখলে, তোমার বিশ্বভ্রমণ পূর্ণ। আমার পদপল্লবে ফুল রেখে তুমি মন্দিরের ঘন্টা বাজাও।
আমার মনের প্রতিটি পাতা নাকি তোমার মুখস্থ। অথচ আমি আজও বিনিদ্র রাত্রি যাপন করি হতাশায়!
আমার নাভিমূলে যে পদ্ম জাগরণ,তুমিও খোঁজ রাখোনি।
আমি সহমরণের চিতা থেকে, ধর্ষিত ক্ষতবিক্ষত–দেহ থেকে, এসিড পোড়া গন্ধ থেকে–
নিষিদ্ধপল্লীর কামার্ত আগুন থেকে।
বৃদ্ধাশ্রমের সমাধি থেকে বিপ্লব চেয়েছি।
মেয়ে জন্মবেলা থেকে শেষ পারের কড়ির —
হিসাব পড়তে পারোনি যা লেখা ছিল মনে।
কাব্য আমার নেই,এত কিছু ফেলে যাওয়ার–
ভরাডুবিতেও শুধু তোমাকেই ভালোবাসি।
আসমুদ্র হিমাচলের দেহে আমি একটাই–
কথা আবারও লিখলাম “বিপ্লব”” বিল্পব”!!
জাগরণ
কয়েকটা দশের গোলে জীবন বয়ে চলে–
ছেড়াপাতা,মেঘলা আকাশ–
দমবন্ধ লুকোচুরি আর অক্ষরের কাঁটাছেড়া!
প্রবল বর্ষণে চারিদিক প্লাবিত ফসলী মাটি।
ভীষণভাবে ফুলে উঠছে অন্ধকার মনের–
অসংখ্য জাতী, বিজাতীয় প্রাঙ্গণ।
হাত পরিস্কার করেই হৃদয় সেঁকে নিচ্ছি–
ভাইরাসের উত্তাপজনিত অসহায়তা!
বিনিদ্র রাতের পর সন্দেহজনক ভোরে–
একটা পলাশমাখা আমার ছবি পোস্ট করলাম
বেশ কিছু বন্ধু রে-রে করে বলে,”শান্তিনিকেতনে-
সাজ কেন সেজেছো? এই অসময়ে!
কোনো এক বন্ধু লিখলো,”রবীন্দ্রভারতীর–
আদল আছে কিছুটা, ভারি অন্যায়!
প্রথমজনকে লিখি,রবিঠাকুরের প্রার্থনা ঘরের–
মুক্তির ছবি,তোমার মনের দুঃসময়।
দ্বিতীয়জনকে লিখি,রূপ দিয়ে নয়,আস্ত–
একটা আকাশ চুম্বনের দুঃসাহস বিশ্বময়।
ওগো বন্ধুরা, যেদিন হাঁটার মিছিলে–
লবণ আর রক্তের মিশ্রণে ছড়িয়ে দিলে–
খাদ্য আন্দোল, রক্ততিলকের অবজ্ঞা!
তোমাদের ভাতঘুমে চোব্যচোষ্যর আগুনে–
ওদের জঠরে লালিত বুভুক্ষুর পলাশভোর।
একটা গোটা শান্তিনিকেতনে ঠোঁট ছুঁয়ে–
অনুভবে মন্দির থেকে মাজারের মাটি।
জীবিকা, খিদে,দেশ,জননী, প্রিয়তমা–
এই শব্দের অধিকারে কত ছবি পোস্ট হয়।
কতটা সততা জেগেছিল স্বদেশ ও–
দশের কোলের উপর জাতির অবক্ষয!
গোলের ভারে বয়স বাড়ে হয়না জাগরণ!
বন্ধু সকল,বিদ্রুপের অবয়ব, কিসের উত্তরণ??
মিতা পাল/কোলকাতা,ভারত।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |