সুজিত মন্ডল | ১৯ আগস্ট ২০২০
গতকাল রাতে জার্মান ক্লাব লাইপজিগকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে নিজেদের নাম যুক্ত করলো ফরাসি ক্লাব পিএসজি। কারণ ৫০ বছরের ক্লাব ফুটবলে প্রথমবার ফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করলো তারা।
লিগ ওয়ান শিরোপা তে রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি অনেক টুর্নামেন্টে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রেখেছে পিএসজি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগটাই এতোদিন শুধুমাত্র হতাশার কেন্দ্রবিন্দু ছিলো তাদের কাছে। এর আগে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে সেফিফাইনালে উঠলেও সেখান থেকে ফাইনালে যাওয়া হয় নি পিএসজির।
২০১১ সালে দলের স্বত্ব পরিবর্তন হওয়ার পর থেকেই ইউরোপ সেরা হওয়াকে মূল লক্ষ্য হিসেবে ধরে নেয় ফরাসি ক্লাবটি। সেই পথ ধরেই চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করলো তারা।
অন্যদিকে টুর্নামেন্টে চমক সৃষ্টি করা জার্মান ক্লাব লাইপজিগ গতকালের ম্যাচে নিজেদেরকে যেন মেলেই ধরতে পারলেন না। পিএসজি’র গতিময় ফুটবল এবং নৈপুণ্যতায় ধরাশায়ী হয়ে পড়ে তারা। তাই ৩-০ গোলের পরাজয় নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
গতকাল রাতে পর্তুগালের লিসবনের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় পিএসজি এবং লাইপজিগ।
খেলার শুরু থেকেই লাইপজিগের উপর আধিপত্য বিস্তার করে পিএসজি। ৬ মিনিটের সময় দারুণ সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি নেইমার। দলের গতিময় ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে ডি-বক্সের ভেতরে বল বাড়ান নেইমারের উদ্দেশ্যে। লাইপজিগের গোলরক্ষককে একা পেলেও সুযোগটি হাতছাড়া করেন নেইমার।
তার ঠিক এক মিনিট পরেই এমবাপ্পে গোল করে বসেন। কিন্তু তার আগেই নেইমারের হাতে বল লাগার কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
ম্যাচের ১৩ তম মিনিটের সময় কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় পিএসজি। ডি মারিয়ার ফ্রি কিক থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়ে দলকে লিড এনে দেন মারকুইনহোস।
বিরতির আগে ৪২ তম মিনিটের সময় গোল করে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় পিএসজি। ডি-বক্সের ভেতরে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের ভূল পাস নেইমারের পায়ে চলে আসে। নেইমার দুর্দান্ত ব্যাকহিল করে সেই বল ডি মারিয়ার উদ্দেশ্যে এগিয়ে দেন। বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে স্কোরশিটে নাম লেখান ডি মারিয়া। এই গোলের মাধ্যমে টুর্নামেন্টে নিজের ২১তম গোল পূর্ণ করেন তিনি।
লাইপজিগ অনেক চেষ্টা করলেও ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিলো না। তাই ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় তাদের।
বিরতির পর প্রতিপক্ষের উপর আবারও চড়াও হয় পিএসজি। একের পর এক আক্রমণের মাধ্যমে এগিয়ে যায় তারা।
ম্যাচের ৫৬ তম মিনিটের সময় পূণরায় জালের দেখা পায় পিএসজি। ডি মারিয়ার বাড়ানো বলে মাথা ছুঁইয়ে দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন হুয়ান বেরনাত।
তৃতীয় গোল হজম করার পরে খেলায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে লাইপজিগ। কয়েকটি আক্রমণও সৃষ্টি করে তারা। কিন্তু ভালো ফিনিশিং এর অভাবে এবং প্রতিপক্ষের শক্তিশালী রক্ষণে তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ম্যাচের ৭০ এবং ৭২ তম মিনিটের সময় গোল বরাবর নেওয়া দুইটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোল সংখ্যা বৃদ্ধি করতে ব্যর্থ হয় পিএসজি। তাই শেষ বাঁশি বাজার পরে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
আজ রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে অলিম্পিক লিওঁ এবং বায়ার্ন মিউনিখ। আজকের ম্যাচে বিজয়ী দলের বিপক্ষে পিএসজি আগামী রবিবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে অবতীর্ণ হবে।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |