সাবিকুন্নাহার কাঁকন | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
আশুলিয়ার মাদ্রাসায় ২ শিশু শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে বেত্রাঘাতের ঘটনায় আদালত গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক মো. ইব্রাহিম এর জবানবন্দি নিয়েছে।মাদ্রাসাশিক্ষক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বুধবার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে আশুলিয়ার জাবালে নূর মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ইব্রাহিম (৩৫) জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত পুলিশ এর কর্মকর্তা এসআই আতিকুল ইসলাম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। অতঃপর এই মাদ্রাসা শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কওমি মাদ্রাসার এই শিক্ষক হেফজ বিভাগ এর শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান(১৩) এবং শরিফুল ইসলামকে(১৩) বেত দিয়ে পিটিয়েছে। শিক্ষক হাফেজ মোঃ ইব্রাহিম।বেত্রাঘাত এর ফুটেজ ফেসবুক এ ভাইরাল হওয়ার পর তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
নির্যাতিত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমানের বাড়ি ঝালকাঠি সদর জেলার দেউলকাঠি গ্রামে এবং অপর শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম এর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে।
নির্যাতন এর শিকার শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান জানিয়েছে, তার সহপাঠী শরিফুল নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে গিয়েছিলো। তারপর তাকে খুঁজে ধরে নিয়ে এসে মাদ্রাসার ভেতর হাত-পা বেঁধে নানাধরনের শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে শিক্ষক ইব্রাহিম।সেই সময় শরিফুলকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে তাকেও বেত দিয়ে মেরে জখম করে দিয়েছে শিক্ষক ইব্রাহিম।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করার পর সন্ধ্যায় শ্রীপুর উপজেলার নতুননগর মথনেরটেক এলাকা থেকে শিক্ষক ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জবানবন্দিতে শিক্ষক ইব্রাহিম বলেছেন, মির্জাপুরের ঐ শিক্ষার্থী মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। আর তার সহপাঠী ঝালকাঠির ছেলেটি তাকে পালাতে সাহায্য করেছিল।আর সেই কারণে মির্জাপুরের ছেলেটির হাত-পা বেঁধে বেত্রাঘাতের পর ঝালকাঠির ছেলেটিকেও মারধর করেন তিনি।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |