সুজিত মন্ডল | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
ডব্লিউএইচও এর প্রধান টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস বলেছেন, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মহামারী করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বাড়ার কারণগুলো নিয়ে আরও গবেষণা করা দরকার।
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এবং জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) প্রধান হিসাবে যোগদান কালে টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসাস সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকে শিশুদের উপর এর প্রভাব বোঝার বিষয়টি অগ্রাধিকার হিসাবে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও যোগ করেছেন যে, শিশুরা মহামারীটির মারাত্মক প্রভাবগুলি থেকে অনেকাংশে বাঁচতে পারছে, তবে তারা অন্যভাবে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, ‘মহামারী শুরু হওয়ার নয় মাস পরেও অনেক প্রশ্ন থেকেই যায়, তবে আমরা আরও পরিষ্কার ধারণা পেতে শুরু করেছি। আমরা জানি যে শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা সংক্রমিত হতে পারে এবং অন্যকে সংক্রামিত করতে পারে।’
‘আমরা জানি যে এই ভাইরাস শিশুদের মৃত্যু ঘটাতে পারে, তবে বাচ্চাদের মধ্যে এই সংক্রমণ অনেক কম। খুব কম সংখ্যক গুরুতর সংক্রমণ এবং এর ফলে শিশু ও কিশোর-কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।’
ডব্লিউএইচওর তথ্য অনুসারে, মোট রিপোর্টকৃত সংক্রমণের ১০ শতাংশেরও কম এবং মৃত্যুবরণ কারীদের মধ্যে ০.২ শতাংশেরও কম শিশু রোগী পাওয়া গেছে যাদের বয়সসীমা ২০ বছরের নিচে।
এছাড়াও, যারা সংক্রামিত হয়েছে তাদের দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য প্রভাব সম্পর্কে জানা যায় নি।
বিশ্বব্যাপী দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও’র প্রধান বলেন, স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে লক্ষ লক্ষ শিশু ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটির কারণে শুধুমাত্র তাদের পড়াশোনাই নয়, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাকেও প্রভাবিত করেছে। তার মতে করোনা সংক্রমণ কমাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত একটি শেষ অবলম্বন ছিলো।
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |